অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে যত মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, তার বেশিরভাগই ইরানে। টানা দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বাড়ছে মৃত্যুদণ্ডের হার। বুধবার (৩০ মে) মৃত্যুদণ্ড ও শাস্তিবিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে মোট ১,১৫৩টি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, দুই-তৃতীয়াংশই ইরানে। এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ৩০% এবং ২০১৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। ২০১৫ সালে ১,৬৩৪টি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় দেশটিতে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, “সবচেয়ে কম সংখ্যক রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।”
কোথায় বেড়েছে মৃত্যুদণ্ড?
২০২২ সালের তুলনায় ইরানে ৫০% বেড়েছে মৃত্যুদণ্ড, বলছে এই প্রতিবেদন। ২০২৩ সালে মোট ৮৫৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ইরানে, যা ২০২২ সালে ছিল ৫৭৬।
অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কায়ামার্ড বলেন, ‘‘মানুষের জীবনকে চরম অবহেলা করে মাদকসংক্রান্ত মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রদানের হার বাড়িয়েছে ইরান। এই ধারা প্রমাণ করে, ইরানে মৃত্যুদণ্ডের প্রচলন বর্তমান সমাজের প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের প্রতি কতটা বৈষম্যমূলক।”
গত বছর ইরান ছাড়াও সবচেয়ে বেশি সংখ্যা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সৌদি আরব, সোমালিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে টানা দু’বছর ধরে বাড়ছে এই সংখ্যা। ২০২২ সালে ১৮টি হলেও ২০২৩ সালে সেখানে ২৪টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সবগুলোই হয় সেই পাঁচটি রাজ্যে যেখানে বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
নেই পর্যাপ্ত পরিসংখ্যান
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নথিভুক্ত মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে মৃত্যুদণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। চীনের মতো রাষ্ট্র, যেখানে “হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুদণ্ড” দওয়া হয় বলে অভিযোগ, সেখানের বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার মতো তথ্য নেই। এর কারণ, দেশটির গোপনীয়তা।
প্রতিবেদনটির ভাষ্য, ‘‘মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে পরিসংখ্যান চীন এখনও প্রকাশ করেনি। প্রাপ্ত তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, প্রতি বছর সেখানে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।”
বেলারুশ বা উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে “রাষ্ট্রের কার্যকলাপ খুবই নিয়ন্ত্রিত” হওয়ায় এ বিষয়ে হয় খুব কম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, বা প্রায় কোনো কিছুই জানা যাচ্ছে না।
Leave a Reply